[ ] 12/01/2017 |
|
|
বেসিক ব্যাংক নিয়ে দুদকের চেয়ারম্যান |
আত্মসাৎ করা ৩৫৯ কোটি টাকা ফেরত এসেছে |
 |
|
ইকবাল মাহমুদ :
বেসিক ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ২০১৬ সালে ব্যাংকের আত্মসাৎ করা ৩৫৯ কোটি টাকা ফেরত এসেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেছেন, জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়া ৩ হাজার ৪২ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইকবাল মাহমুদ। সংস্থার ২০১৬ সালের কার্যক্রম ও ২০১৭ সালের পরিকল্পনা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
দুদকের চেয়ারম্যান মনে করেন, ২০১৬ সালে দুদকের অভিযানের কারণে ব্যাংকিং খাতে কিছুটা হলেও সুশাসন ফিরেছে। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৭ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময়ে মোট গ্রেপ্তার হন ৩৮৮ জন। এর মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৬৮ জন, জনপ্রতিনিধি ১৩, বিমা ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আটজন এবং ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশার ১১২ জন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, চলতি বছর দুর্নীতিপ্রবণ দপ্তরগুলোতে বিশেষ নজরদারি করবে দুদক। ঘুষ নেওয়ার সময় ফাঁদ পতে দুর্নীতিবাজদের ধরার অভিযান আরও জোরদার করা হবে। বেসিক ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় করা ৫৬ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটি জটিল মামলা। আমরা এ বিষয়ে সতর্কভাবে কাজ করছি।’
বেসিক ব্যাংকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে গিয়ে দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য আলাদা ইউনিট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি দুদকে গোয়েন্দা ইউনিট গঠন, প্রসিকিউশন ইউনিটকে শক্তিশালী করা, ডেটাবেইস সিস্টেম আধুনিক করাসহ নানা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ৩৩৯টি মামলা করা হয়েছে। অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে ৫২৮টি।
দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, মামলা পরিচালনায় শৈথিল্যের জন্য ২০ জন আইনজীবীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
 |
|